ক্যাটাগরি কবিতা

কবিতা

 

শ্রদ্ধাঞ্জলী: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান

bangabundhu[জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান]

বাঙালী জাতির মহান স্বাধীনতার মাসে গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, মুক্তিকামী বাঙালীর মহান নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ জাতীয় চারনেতা ও অসংখ্য বীর শহীদদের। যারা নিজেদের জীবন দিয়ে বাঙালী জাতিকে মুক্ত করেছিলেন এবং সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। আজকে আমরা অবনত চিত্তে সেই বীরদের স্মরণ করছি।

তোমাদের ঋণ কোন দিনই শোধ হবার নয়। কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে সবাইকে সংগ্রামী শুভেচছা।

নতুন প্রজন্মের মুক্তযুদ্ধের গান

ভুলব না তোমাদের ভুলব না গো
রক্তের শোধ মোরা নেবই নেব
অন্যায়-অবিচার জুলুম-শোষণ
রুখতে না হয় আবার যুদ্ধে যাবো
আমরা দেশের কোটি জনতা,
দীপ্ত কণ্ঠে আজ শপথ নেবো।।

বাংলা মাকে করতে স্বাধীন
জীবন দিলো লাখো সোনার ছেলে
পাক-হানাদার দেশী সহ-বাহিনী
করলো শ্মশান দিলো সব জ্বালিয়ে
হাজার বোনের মান হারালাম,
নেবই নেব শোধ, শপথ নেবো।।

আমরা মাগো তোর কোটি সন্তান
জীবন দেবো শুধু দেব নাক মান
ধর্মান্ধতা-সন্ত্রাস-অবিচার
রুখবো না হয় দিয়ে জীবন আবার
রক্তে রাঙা সবুজ ঐ পতাকার,
রাখতে মান হবো শহীদ হবো।।

রচনায়:
মোঃ জালাল উদ্দিন প্রাং
সহকারী অধ্যাপক, দর্শন
কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ।

তোমরা যাঁরা

জাতীয় স্মৃতিসৌধ
[বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যাদের রক্তের ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়,
সেই মুক্তিপাগল দামাল ছেলেদের স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ভরে। তোমাদের কথা ভুলবার নয়]
 
তোমরা যাঁরা দেশের জন্য দিয়ে গেছো দেহ-প্রাণ
ধন্য-ধন্য তোমাদের স্মৃতি, কখনো কী হবে ম্লান?
তোমরা যাঁরা সাহসের সাথে করেছ যুদ্ধজয়
বলতে চাই তোমাদের আজ, ভুলি নাই ভুলি নাই।
তোমরা যারা বুকের রক্তে লিখেছ বাংলাদেশ-
করতে গর্ব তোমাদের নিয়ে, রয়েছে কী কোন ক্লেশ?
তোমরা যাঁরা ছিনিয়ে এনেছ একটি স্বাধীন দেশ
তোমাদের কথা রবে ততদিন, থাকলে বাংলাদেশ।
লিখেছেন:
শরিফুল ইসলাম
সিনিয়র প্রভাষক, ইংরেজী বিভাগ।
কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ।
তানোর রাজশাহী, বাংলাদেশ।

কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা কলেজ

Krishnapur Collegeকৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা কলেজ
এখানে পড়লে বাড়বে নলেজ

হবো জ্ঞানী, হবে ভাল ফলাফল
নারীর অধিকার করবো দখল।

মোদের কলেজে আছে পড়াশুনা আর হাসি-খুশি
তাইতো মোরা এই কলেজে বারবার ফিরে আসি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ফুলে ফুলে ভরা
পাঠ্যের সাথে প্রাকৃতিক শিক্ষায় জীবন গড়া।শিক্ষকেরা জ্ঞানী আর আন্তরিকতাপূর্ণ
জীবন চলার পথে মূর্খতা করবো চূর্ণ-বিচূর্ণ
দিবেন তারা শিক্ষা উৎসাহ আর প্রেরণা
দূরীভূত হবে সকল শিক্ষার্থীর আনমনা।

মোদের কলেজে তুমি যাবে মোদের সাথে
এক সাথে চলবো হাতে হাত রেখে
হবে অনেক পড়াশুনা আর অনেক আনন্দ
বন্ধু মোরা সবাই করবো না দ্বন্দ্ব।

 
(বরেন্দ্র কইন্যা শাহিনুর খাতুন-এর কবিতা।
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)

জন্মদিন

আজকের সমস্ত গোলাপ শুধু তোমার জন্য,

আজকের সমস্ত সুর শুধু তোমার জন্য।

আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে থাকা আনন্দ যেন

ব্যাকুল আশায় অপেক্ষা করছে শুধু তোমার জন্য।

মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে আছে যেন হাজারও

আনন্দের মেলা শুধু তোমার জন্য।

কেন আজ এত আয়োজন কেন পুকুরের পানি সোনালী রোদ্রে ঝলমল করছে?

সমস্ত আয়োজনের একটায় কারণ আজ যে তোমার জন্মদিন।

(বরেন্দ্র কইন্যা ‘খাইরে উম্মে সালমা’র কবিতা। লেখিকা একাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থী)

ব্যাথার গ্লানি

Girl-Shadow
শ্রান্ত-ক্লান্ত শরীরে চেয়ে থাকি
আকাশের পানে-
আকাশকে ছোঁয়ার সাধ
জাগে মনে,
মনে-মনে বলি,
কি সব ভাবি আমি!
আকাশে ভিড় করেছে
এক খন্ড মেঘ
মনে হয় বৃষ্টি পড়বে,
পড়ুক না-
জীবনের সব ব্যাথার গ্লানি
ভুলতে চাই আমি,
বর্ষিত হোক সেই বৃষ্টি
ধুয়ে মুছে যাক আমার সকল গ্লানি।
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘নিলুফা ইয়াসমিন’-এর কবিতা।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)

রম্য ছড়া

barind-4
বাদশা মিঞা বড়ই ধনী তার যে অগাধ টাকা
একটি মেয়ে আছে যে তার নামটি হলো রাকা
প্রভূ তারে গড়ছে যেন রূপের আধার দিয়ে
সকল যুবক চাইতো সদা করতে তারে বিয়ে।

এমন মেয়ের জন্মদিনে পার্টি দিল বেশ
নৃত্য-গীত আর রঙ-তামাশা হলো তাহা শেষ
পার্টি শেষে লোকটি বলে, “বলছি শোন ত্বরা
এই পুকুরটা দেখছো সবাই এতে কুমির ভরা
সাঁতরিয়ে যে এপার থেকে ওপারেতে যাবে
সে আমার মেয়ে সাথে কোটি টাকা পাবে।

কোটিপতি লোকটি যখন এমন কথা বলে
দেখলো সবাই হঠাৎ কে যে ঝাপ দিয়েছে জলে
কুমিরগুলো শিকার পেয়ে করলো ধাওয়া পিছে
কিন্তু তারে পাইলো নারে শিকার হলো মিছে
সাঁতরিয়ে সে উঠলো পাড়ে জানটা হাতে রেখে
সাবাস সাবাস সাবাস যুবক বললো সবাই হেসে।

মেয়ের পিতা গেল ছুটে বলল কাছে যেয়ে
“বলো যুবক, কোনটি নেবে টাকা নাকি মেয়ে?”
যুবক বলে, “চাইনা মেয়ে চাইনা টাকা হায়
সে শালরে চাইরে আমার সে শালারে চাই
খুন করে আজ তারে আমি যাব না হয় জেলে
যে আমারে দিল পুকুরে ধাক্কা মেরে ফেলে!”

 

(বরেন্দ্র কইন্য ‘মাহাফুজা খাতুন’-এর ছড়া।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)