লেখক: কলেজ ডেস্ক
জন্মদিন
আজকের সমস্ত গোলাপ শুধু তোমার জন্য,
আজকের সমস্ত সুর শুধু তোমার জন্য।
আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে থাকা আনন্দ যেন
ব্যাকুল আশায় অপেক্ষা করছে শুধু তোমার জন্য।
মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে আছে যেন হাজারও
আনন্দের মেলা শুধু তোমার জন্য।
কেন আজ এত আয়োজন কেন পুকুরের পানি সোনালী রোদ্রে ঝলমল করছে?
সমস্ত আয়োজনের একটায় কারণ আজ যে তোমার জন্মদিন।
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘খাইরে উম্মে সালমা’র কবিতা। লেখিকা একাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থী)
ব্যাথার গ্লানি
আকাশের পানে-
আকাশকে ছোঁয়ার সাধ
জাগে মনে,
মনে-মনে বলি,
কি সব ভাবি আমি!
এক খন্ড মেঘ
মনে হয় বৃষ্টি পড়বে,
পড়ুক না-
জীবনের সব ব্যাথার গ্লানি
ভুলতে চাই আমি,
বর্ষিত হোক সেই বৃষ্টি
ধুয়ে মুছে যাক আমার সকল গ্লানি।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
রম্য ছড়া
একটি মেয়ে আছে যে তার নামটি হলো রাকা
প্রভূ তারে গড়ছে যেন রূপের আধার দিয়ে
সকল যুবক চাইতো সদা করতে তারে বিয়ে।
এমন মেয়ের জন্মদিনে পার্টি দিল বেশ
নৃত্য-গীত আর রঙ-তামাশা হলো তাহা শেষ
পার্টি শেষে লোকটি বলে, “বলছি শোন ত্বরা
এই পুকুরটা দেখছো সবাই এতে কুমির ভরা
সাঁতরিয়ে যে এপার থেকে ওপারেতে যাবে
সে আমার মেয়ে সাথে কোটি টাকা পাবে।
কোটিপতি লোকটি যখন এমন কথা বলে
দেখলো সবাই হঠাৎ কে যে ঝাপ দিয়েছে জলে
কুমিরগুলো শিকার পেয়ে করলো ধাওয়া পিছে
কিন্তু তারে পাইলো নারে শিকার হলো মিছে
সাঁতরিয়ে সে উঠলো পাড়ে জানটা হাতে রেখে
সাবাস সাবাস সাবাস যুবক বললো সবাই হেসে।
মেয়ের পিতা গেল ছুটে বলল কাছে যেয়ে
“বলো যুবক, কোনটি নেবে টাকা নাকি মেয়ে?”
যুবক বলে, “চাইনা মেয়ে চাইনা টাকা হায়
সে শালরে চাইরে আমার সে শালারে চাই
খুন করে আজ তারে আমি যাব না হয় জেলে
যে আমারে দিল পুকুরে ধাক্কা মেরে ফেলে!”
(বরেন্দ্র কইন্য ‘মাহাফুজা খাতুন’-এর ছড়া।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
নারী
পৃথিবীতে নারী আছে বলেই
পৃথিবী এত সুন্দর,
নারী যে মাতা, নারী ভগ্নি
আর বউ সে তো স্বামীর বেলায়।
নারী বিহীন কখনও কি
পুরুষ জীবন হয় পূর্ণ?
সারা জীবন থাকে সে যে
শ্রীহীন, অতি জীর্ণ।
কখনো বা নারী গড়ে ভালোবাসার ঘর
কখনো বা তারই কারণে সংসার ছারখার।
নারী কখনো মাতা
হয় কখনও ভগ্নি
কখনো বা হয়ে ওঠে জলন্ত অগ্নি।
পুরুষ জীবন সার্থক হয় নারীর কারণে
ধ্বংস আবার নেমে আসে তারই কারণে।
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘চাঁদনী খাতুন’-এর কবিতা লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
তিন বোন
করল কি শোন কাল,
কাঁচা আম নুন মেখে
তার সাথে খেল ঝাল।
ঝাল খেয়ে লাল হয়ে
চোখ দুটো জবা ফুল,
মুখ জ্বলে গাল জ্বলে
চিৎকারে টানে চুল।
মম কয় শোন হাসি
ঝাল কভূ খাব না,
মিঠে আর টক খাব
ঝাল ছুতে যাব না।
খুশি খুব ছোটতো
এত কি বোঝে সে?
চোখে জল নিয়ে তাই
মাকে যাই খুঁজে সে।
কান্ডটা দেখে মা
হেসে কুল ছড়ালেন,
কোল পেতে বেবিকে
নিতে হাত বাড়ালেন।
(বরেন্দ্র কইন্যা ’রুপালী খাতুন’-এর ছড়া।
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)