ক্যাটাগরি কবিতা
নারী
পৃথিবীতে নারী আছে বলেই
পৃথিবী এত সুন্দর,
নারী যে মাতা, নারী ভগ্নি
আর বউ সে তো স্বামীর বেলায়।
নারী বিহীন কখনও কি
পুরুষ জীবন হয় পূর্ণ?
সারা জীবন থাকে সে যে
শ্রীহীন, অতি জীর্ণ।
কখনো বা নারী গড়ে ভালোবাসার ঘর
কখনো বা তারই কারণে সংসার ছারখার।
নারী কখনো মাতা
হয় কখনও ভগ্নি
কখনো বা হয়ে ওঠে জলন্ত অগ্নি।
পুরুষ জীবন সার্থক হয় নারীর কারণে
ধ্বংস আবার নেমে আসে তারই কারণে।
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘চাঁদনী খাতুন’-এর কবিতা লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
তিন বোন
করল কি শোন কাল,
কাঁচা আম নুন মেখে
তার সাথে খেল ঝাল।
ঝাল খেয়ে লাল হয়ে
চোখ দুটো জবা ফুল,
মুখ জ্বলে গাল জ্বলে
চিৎকারে টানে চুল।
মম কয় শোন হাসি
ঝাল কভূ খাব না,
মিঠে আর টক খাব
ঝাল ছুতে যাব না।
খুশি খুব ছোটতো
এত কি বোঝে সে?
চোখে জল নিয়ে তাই
মাকে যাই খুঁজে সে।
কান্ডটা দেখে মা
হেসে কুল ছড়ালেন,
কোল পেতে বেবিকে
নিতে হাত বাড়ালেন।
(বরেন্দ্র কইন্যা ’রুপালী খাতুন’-এর ছড়া।
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
প্রতিভা কী?
তবুও লেখ তুমি সুন্দর কবিতা।
তবুও আঁক তুমি স্বপ্নের অমিতা।
তবুও গাও তুমি সুন্দর গান।
তবুও দেশের জন্য নিবেদিত তোমার প্রাণ।
শুধুই পরিশ্রম।
হতে পারবনা কিছুই আমরা
যদি না দেই শ্রম।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
ব্যর্থ স্বপ্ন
শেষ রাতে তোমায় দেখি,
অচেতনে তোমাকে পাই,
চেতনে তুমি নাই।
যেন এভারেষ্ট ছুয়ে নগর সভ্যতা
শুধুই ব্যর্থতা।
উষ্ণ হয়ে ওঠে না পেয়ে আশা,
সারাক্ষণ তোমায় ভাবি
রাখনা তবু আমার দাবি।
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।)
তোমারি ছবি এঁকেছি
সেতো শুধু তোমারি ছবি,
তাকে পরম যত্নে তুলে রেখেছি
মনের নিভৃত দেয়ালে।
কেউ কোনদিনও দেখবেনা ছবিটি,
হয়তো তুমিও জানবেনা,
তাকে পরম যত্নে বেঁধে রেখেছি মনের গভীরে
বৈশাখের রোদে বর্ষার প্রত্যাশা মাখানো ফ্রেমে
আমার বুকের গভীরে।
তোমার ছবিটি কে আঁকলো কবে
রাখলো কোথায়?